নিজস্ব প্রতিবেদক :
ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম কমাতে কি কি উদ্যোগ নেয়া যায়, এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেছেন, তাৎক্ষণিকভাবে এটি বলা যাবে না। প্রথমত আমাদের দেশীয় উৎপাদন যাতে চাহিদামতো বাড়ানো যায়, সেটি কৃষি বিভাগের সাথে কথা বলে পরিকল্পনা করতে হবে। পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানিতে পঁচে যাওয়া রোধে কিভাবে ব্যবহার উপযোগী পেঁয়াজ আনা যায়, এই সমস্যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করতে হবে৷ এনিয়ে করনীয় নিয়ে আমদানিকারকদের সাথে আলোচনা করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হবে।
শনিবার রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের বিভিন্ন ইয়ার্ড পরিদর্শনে আমদানিকৃত পেঁয়াজের মান যাচাই-বাছাই করেন ও আমদানিকারকদের সাথে কথা বলেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ডিজি আরও বলেন, ভোক্তাদের যে চাহিদাগুলো রয়েছে, তারমধ্যে পেঁয়াজ অন্যতম। ভোক্তারা পেঁয়াজ কেনার ক্ষেত্রে একটু সমস্যার মধ্যে আছে। যৌক্তিক দামের তুলনায় পেঁয়াজ কিনতে অসুবিধা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমরা দেখছি, বর্তমানে আমাদের আমদানিকৃত পন্যের মধ্যে অন্যতম পেঁয়াজ। সেই পেঁয়াজগুলো কোন পরিস্থিতিতে আসে, কেন আমদানিকারকরা জনসাধারণের নাগালের মধ্যে দাম নিয়ে আসতে পারেন না, কি কি সমস্যা হয়, তা জানার জন্যই সোনামসজিদ স্থলবন্দরে এসেছি।
মোহাম্মদ আলীম আখতার খান আরও বলেন, সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে দেখলাম কিছু পন্য আসতে আসতেই নষ্ট হয়ে যায়। এই কারনে পন্যের দাম বেড়ে যাওয়ার কথা বলছেন আমদানিকারকরা। তাদের দাবি, যে পরিমাণ পন্য আমদানি করা হয়, তার একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যবহারযোগ্য থাকে না। এর ফলে দাম নির্ধারণ করতে গিয়ে পন্যের মূল্য বেড়ে যায়, যা ভোক্তার উপর প্রভাব ফেলে। মূল্য কিভাবে ভোক্তার অনুকুলে আনা যায়, এনিয়ে আমরা কথা বলব। সমস্যা সমাধানে অন্য কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কি না তা দেখা হচ্ছে।