সামাউন আলী, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি :
বাড়ির ছাদে সৌখিন ফলের বাগান করে সফলতা পেয়েছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার যুবক তারেকুজ্জামান লিটন। তার দুইতলা বাড়ির ছাদে এখন শোভা পাচ্ছে দেশি-বিদেশি গাছের ডালে প্রায় ৩৫ ধরনের ফল। তার এই সফলতায় ছাদ বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছেন অনেকেই। সিংড়া পৌর শহরের পেট্রোবাংলা মহল্লার বাসিন্দা তারেকুজ্জামান লিটন ২০১৬ সালে নিজের বাড়ির ছাদে স্বল্প পরিসরে ফলের বাগান শুরু করেন।
নাটোর, বগুড়া, রংপুর, রাজশাহী, জামালপুর ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তিনি দেশি-বিদেশি প্রায় ৩৫ ধরনের ফল গাছ সংগ্রহ করে ছাদ বাগান তৈরি করেন । এরপর থেকে তার নিরলস প্রচেষ্টায় ৭ বছরে বাগানে শোভা পাচ্ছে নানান রকমের ফল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লিটনের ছাদ বাগানে দার্জিলিং মাল্টা, চায়না মাল্টা বারি-১ মাল্টা, ছিডলেস লেবু, কট লেবু, বারোমাসি আমড়া, থাই পেয়ারা, জাম্বুরা, বারোমাসি আম, মিয়াজাকি আম, ব্যান্যানা ম্যাংগো, থাই ছবেদা, অষ্ট্রেলিয়ান আনার, ইয়েমেনি আনার, ফুলে আরক্তা আনার, করমচা ফল, লাল পেয়ারা, মাধবী পেয়ারা, মালবেরিসহ, আনারকলি সহ প্রায় ৩৫ প্রজাতির ফল রয়েছে । এছাড়াও মেহেদী গাছ গোলাপ, মাধবীলতা, টগরসহ কয়েক ধরনের ফুল গাছও রয়েছে।
তারেকুজ্জামান লিটন বলেন, গাছ ও প্রকৃতিকে ভালোবাসা থেকেই এ ছাদ বাগানের সূচনা। এখান থেকে ফরমালিনমুক্ত ফল পাওয়া যায়। এ বাগানের ফলমূল নিজেদের চাহিদা পূরণ করে প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের দেওয়া হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, কখনো মন খারাপ থাকলে ছাদের ফল বাগানে আসলে ভালো লাগে,ভবিষ্যতে আমার পরিকল্পনা আছে এই বাগানটি আরও বড় করার।
সিংড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ খন্দকার ফরিদ বলেন, বর্তমান সময়ে ছাদ কৃষি কৃষির একটি অনুসঙ্গ হয়ে উঠছে। অনেকে সৌখিন আবার অনেকে বাণিজ্যিকভাবে ছাদ বাগান করছেন। আমরা ফাঁকা ছাদে ফুল-ফলের বাগান করতে উদ্বুদ্ধ করছি। এছাড়াও সকল সহযোগিতায় উপজেলা কৃষি দপ্তর সবসময় উদ্যোক্তাদের পাশে রয়েছে।