স্টাফ রিপোর্টার :
সচিবালয়ে আগুন নাশকতা কিনা তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে সচিবালয়ের সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সচিবালয়ে আগুন নাশকতা কিনা তদন্ত করা হচ্ছে। আগুনের ঘটনা নিছক দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্তের পরই জানা যাবে। এ ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির সদস্যসংখ্যা ৫ থেকে ১১ জন হতে পারে। দোষীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।’
সচিবালয়ের মতো সুরক্ষিত জায়গায় এত বড় আগুন কীভাবে লাগল এমন এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। সব জায়গায় হতে পারে। সচিবালয়েও হতে পারে। এ জন্যই তো এখানেও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রাখা হয়। তদন্ত শেষে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। ১টা ৫৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আসে। আজ সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগে ৬ তলায়। পরে তা ৭ ও ৮ তলায় ছড়ায়। আগুনের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত আছেন ২ থেকে তিনজন।’
আগুনের ঘটনায় নাশকতা থাকতে পারে কি না, এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘তদন্তের পর তা বলা যাবে। এ ছাড়া আগুনের উৎস সম্পর্কেও তদন্তের পর বলা যাবে।’
এর আগে সকাল পৌনে ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। তার সঙ্গে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও সচিবালয়ে প্রবেশ করেন।
ফায়ার সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুনের খবর পায় তারা। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় একের পর এক ১৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। দীর্ঘ ৬ ঘণ্টা ধরে কাজ করার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় তারা।
এদিকে, আগুন নেভানোর সময় ট্রাকচাপায় আহত হওয়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ফায়ার ফাইটারের নাম মো. সোহানুজ্জামান নয়ন। তিনি তেজগাঁও ফায়ার টিমের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্য। তার বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুরে। তিনি দুই বছর ধরে ফায়ার সার্ভিসে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া আগুন নেভানোর সময় আরেক ফায়ার কর্মী পা কেটে আঘাতপ্রাপ্ত হন।