বিনোদন ডেস্ক :
ঢালিউডের কুইন’খ্যাত চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন প্রযোজন সিমি ইসলাম কলি। গেল ২৪ আগস্ট ঢাকা একটি আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলা নম্বর ১১৩৬। এতে অপু ও হিরো আলম ছাড়াও বিবাদী করা হয়েছে জাহিদুল ইসলাম আপন নামে আরেকজনকে।
প্রযোজক সিমি দাবি করেন, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ ডায়রি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সিমি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গেল বছর আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করে। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেয়নি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে সিমি। যেখানে আসামী করা হয় অপু ও আপনকে।
বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। জানানো হয় অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় বিবাদী হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, তার চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো নেই।
বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়া বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হন সিমি।
মামলা প্রসঙ্গে সিমি ইসলাম কলি বলেন, ‘এই চ্যানেলটি নিয়ে বহুদিনে ধরেই আমি অপুর কাছে গিয়েছি। চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে বহুবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। সেও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছে। তার কথাও সে রাখেনি। এর মধ্যে একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলে, সে বিষয়টি সমাধান করে দিবে। তার কথায় আমি রাজি হলে সে অপুর সঙ্গে কথা বলবে। আমার মনে হয়, অপুই তাকে ফোন দিতে বলেছে আমাকে। এরপর টাকার বিনিময়ে চ্যানেলটি ফিরে পেলেও ভিডিওগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। বিষয়টি হিরো আলমকে জানালে সে বলে, দেখছি কি করা যায়। এরপর আর তার কোনো খবর নেই। অপু সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাই আমি আদালতে গিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত থেকে আমার মামলাটি তদন্ত করার জন্য তেজগাঁও থানাকে বলা হয়েছে। আগামী মাসের ১১ তারিখ বিবাদীদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।’