অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বিশাল সমুদ্রসীমায় বাংলাদেশের অধিকার নিশ্চিত করেছে। বিগত সরকারগুলো সমুদ্রসীমায় অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি।’
আজ রবিবার সকাল ১০টায় শেরেবাংলা নগরে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন ও পদক প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা অর্জন বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত। ১৯৭৫ সালের পর কোনো সরকারই সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেয়নি। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয় এবং সমুদ্রসীমার অধিকার নিশ্চিত করে।’
সমুদ্রসীমায় যে সম্পদ রয়েছে, তা দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ জন্য ইতোমধ্যে সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু ইকোনোমি ঘোষণা করা হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রসীমা আইন জাতির পিতাই প্রথম করেছিলেন। ১৯৭৫-এর হত্যাকাণ্ডের পর দায়িত্বে আসা কোনো সরকারই কোনো উদ্যোগ নেয়নি। সমুদ্রে বাংলাদেশ নিজস্ব সীমানার মালিক হয়েছে। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখে এটি সম্ভব করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
‘একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কোস্ট গার্ড’ এ মন্তব্য করে সরকার প্রধান বলেন, ‘কোস্ট গার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে।’
তিনি দেশ ও দেশের প্রতিটি জিনিসের যত্ন নিতে কোস্ট কার্ডের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের একটি মানুষও ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না। প্রত্যেকেই একটি ঠিকানা পাবে, উন্নত জীবন পাবে। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করছে।’
এর আগে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের বিভিন্ন ভৌত অবকাঠামো এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় বাহিনীতে সংযোজিত ভি-স্যাটনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।