দিনাজপুর প্রতিনিধি: মোঃ নুর আলম
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতি
বাংলাদেশ ইটভাটা মালিকগণ বিগত ৩৫/৩৬ বছর যাবৎ অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ইট ভাটার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। দেশের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি সহ সকল অবকাঠামো নির্মাণে ব্যবহৃত ইট সরবরাহ করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখছে।
ইটভাটা মালিকগণ বায়ু দূষন সরকার নির্দেশিত আধুনিক প্রযুক্তির ঝিকঝাক ভাটা স্থাপন করে যাহা জ্বালানি শাশ্রয়ী,পরিবেশবান্ধব উপমহাদেশের টেকশই সহজ প্রযুক্তি হিসাবে পরিচিত এই শিল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ শ্রমিক কর্মরত আছে এবং ৫০ লক্ষ পরিবার তথা দুইকোটি মানুষ রুটি রুজির ব্যবস্থা ভাটা মালিকগণ করছে। ভাটা বন্ধ হয়ে গেলে ২ লক্ষ পরিবার বেকার হয়ে পড়বে। এছাড়াও প্রতিটি ভাটার বিপরীতে এক কোটির উপরে ব্যাংক ঋণ যাহা প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা উপরে।এই ইট ভাটা বন্দ হয়ে গেলে ব্যাংক ঋণ অনাদায় থেকে যাবে। ঝিকঝাক ইটভাটা বন্ধের প্রতিবাদে ইটভাটা মালিক বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ৮ দফা দাবি প্রস্তাব আকারে প্রেরন করেন।
১। ২০১৩ সনের ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের ঝিকঝাক ভাটা বৈধ পদ্ধতি উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮(৩) (ঙ) (খ) উপধারায় দূরত্ব নির্দিষ্ট করনের দেশের কিছু ইট ভাটার মালিকগণ ছাড়পত্র লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ইতিমধ্যেই পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রিড কিলন এবং টানেল কিলন এর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দুরত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে, সুতরাং আমাদের ঝিকঝাক ভাটার জন্য উক্ত আইনের ৮(৩)(ঙ) ধারায় নিষিদ্ধ এলাকার দূরত্ব ৪০০ মিটার এবং আইনের ৮(৩) ( খ) এ বনের দুরত্ব ৭০০ মিটার করে লাইসেন্স ও ছাড় পত্র পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র গাড়ির মাধ্যমে পরিচালনা করার সুযোগ প্রদানের আবেদন জানাচ্ছি।
২। ঝিকঝাক ইটভাটার কোন প্রকার হয়রানী বা কোট পরিচালনা করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট ট্যাক্স বন্ধ করে দিতে বাধ্য হব।
৩। কোন ইটভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারিভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে।
৪। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যয়ন পত্র নেওয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।
৫। পরিবেশগত ছাড়পত্র ডি,সি লাইসেন্স,ট্রেডলাইসেন্স সহ কাগজপত্রাদি ইস্যু/নবায়নের সময় কেন্দীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়ন পত্র বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেওয়ার বিধান বাতিল করতে হবে।