অনলাইন ডেস্ক :
বন্যার পানি নামতে শুরু করার সাথে সাথে শিশুসহ অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহিত নানা রোগে। অনেকেই হারিয়েছেন সহায় সম্বল। বড় ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতের। এখনও পানিবন্দী আছেন ১০ লাখের বেশি পরিবার।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের শেষ তথ্যে ৫৪ জনের মৃত্যুর খবর বলা হয়েছে। তার মধ্যে ৪১জনই পুরুষ। ৬ জন নারী এবং ৭ জন শিশু। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ফেনীতে (১৯ জন)।
বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও এখনো পানিবন্দী আছে ১০ লাখের বেশি পরিবার। বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে গেছে বাড়ি ঘর আসবাবপত্র। ডুবে গেছে হাঁস, মুরগি, গরুর খামার। অসুস্থ হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিনই বাড়ছে নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়া। অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন সাপের কামড়ে।
ফেনীর দাগনভূইয়াসহ অনেক এলাকা এখনো পানির নিচে। ত্রাণ দিলেও তা অনেকটাই অপ্রতুল বলছেন এলাকাবাসী। কুমিল্লার অনেক স্থানের পানি প্রবাহ কিছুটা কমে এসেছে। রাঙ্গামাটির কয়েকটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ডুবে আছে রাস্তা-ঘাট ও মানুষের ঘরবাড়ি।