স্পোর্টস ডেস্ক :
নাজমুল হোসেন শান্তকে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তিন সংস্করণের অধিনায়ক করা হয়। কিন্তু এক বছর না যেতেই আবারও একাধিক অধিনায়কের পথেই পা বাড়াতে হচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে। বিসিবির একটি সূত্রের বরাত দিয়ে দেশের প্রথমসারির একটি দৈনিক জানিয়েছে, নাজমুল চূড়ান্তভাবেই বিসিবিকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি আর টি–টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব দেবেন না।
তবে বিসিবি যদি চায়, টেস্ট এবং ওয়ানডে অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাবেন শান্ত। বিসিবি নাকি তার এই ইচ্ছায় সম্মতি জানিয়েছে। অর্থাৎ, আগামী মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পরবর্তী টি–টোয়েন্টি সিরিজে এই বাঁহাতি ব্যাটার বাংলাদেশের অধিনায়ক থাকছেন না।
গতকাল বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদও এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, ‘শান্ত (নাজমুল) ফাইনালি বলে দিয়েছে সে আর টি–টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব করবে না। আমরাও এটা মেনে নিয়েছি। তবে যেহেতু আপাতত আমাদের টি–টোয়েন্টি খেলা নেই, হাতে সময় আছে; এখনই নতুন অধিনায়ক নিচ্ছি না। তবে যদি চোটের সমস্যা না থাকে, ওয়ানডে ও টেস্টে শান্তই অধিনায়ক থাকবে। সেভাবেই কথা হয়েছে।’
এদিকে টি–টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে এখনই কারও নাম ঘোষণা না হলেও কে আসতে পারেন নেতৃত্বে, সেটা অলিখিতভাবে ঠিক হয়ে আছে। এ মাসের শুরুতে লিটনের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ৩–০–তে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জিতে আসার পর বিসিবির জন্যও সিদ্ধান্তটা নেওয়া সহজ হয়ে গেছে। সব ঠিক থাকলে মার্চে বাংলাদেশের পরবর্তী টি–টোয়েন্টি সিরিজে লিটনই নামবেন টস করতে।
এর আগে গত অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের সময় প্রথম জানা গিয়েছিল, ‘ব্যক্তিগত’ কারণে নাজমুল কোনো সংস্করণেই আর অধিনায়কত্ব করতে চান না।‘ যেখানে অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর ব্যাটিং নিয়ে কিছু সমালোচনা হলেও মাঠে নাজমুলের নেতৃত্ব প্রশংসিতই হয়েছে সব সময়। অধিনায়কের দায়িত্ব ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করার পরও বিসিবির তাঁকে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে অনুরোধ করার কারণও এটাই।
নভেম্বরের শুরুতে শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও তাই নাজমুলকেই অধিনায়ক রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু কুঁচকির চোটে পড়ে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচটা খেলতে পারেননি তিনি, যেতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট এবং ওয়ানডে সিরিজে আপৎকালীন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন মিরাজ। টি–টোয়েন্টিতে অধিনায়ক ছিলেন লিটন।