নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মাধবপুর মৌজায় ও শিংরইলে বিভিন্ন খতিয়ান ও দাগের মোট প্রায় ২২ বিঘা লাগানো জমিতে গম, ও পিঁয়াজ লাগানো ছিল। একদল সন্ত্রাস বাহিনীরা গত ০৯/০৩/২০২৪ তারিখে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে জমির পিঁয়াজ তুলতে থাকে। জমির আয়ধর বাবুল বাধা দিলে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিতে থাকে এবং জমির পিঁয়াজ তুলে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মোঃ আজিজুর রহমান বাদী হয়ে গত ১৪ মার্চ নাচোল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়েরের দিনই আবার অভিযুক্ত সন্ত্রাস বাহিনীরা রাতের আঁধারে কেটে ফেলেছে জমির গম। ১৫ মার্চ শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায় আধা কাঁচা গম রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে গেছে অভিযুক্তরা।
১৫ মার্চ শুক্রবার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মইনুল ঘটনাটি তদন্ত করে। তদন্তের বিষয়ে জানার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মইনুলকে ফোন করে তাকে পাওয়া যায় নাই।
চুরি হওয়া গমের সন্ধান পাওয়া গেলে বিষয়টি থানায় জানানোর জন্য আবারও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মইনুলকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। পরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি বাইরে আছেন এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে ফোন দিতে বলেন। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশের সাহায্য না পেয়ে শেষে সার্কেল পলিশ সুপারকে জানালে তিনি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিষয়টি নিয়ে সারাদিন গড়িয়ে অবশেষে রাতে পুলিশ গিয়ে মাল উদ্ধার না করে শুধু ছবি উঠিয়ে নিয়ে আসে। পুরো ঘটনাটিতে মনে হল যেন পুলিশ তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে নই বরং একান্ত বাধ্য হয়ে কাজ করছেন। ১৬ মার্চ শনিবার আবারো অভিযুক্ত সন্ত্রাস বাহিনীরা ওই জমিতে হাসুয়া, কাতা, লাঠি নিয়ে এসে জোরপূর্বক গম কেটে নিয়ে যাবার প্রস্তুতি নিলে আবারও তদন্ত কর্মকর্তাকে না পেয়ে বিষয়টি তাৎক্ষণিক নাচোল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমানকে অবগত করলে তিনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে এসআই মুকুলকে ঘটনা স্থলে পাঠান। তিনি এসে জমির আয়ধর বাবুল সহ উভয়কে থানায় নিয়ে যায়। থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেকুর রহমান অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গম না কাটার জন্য বললেও তারা থানা থেকে বের হয়ে আবার গম কাটা শুরু করে, আবারও বিষয়টি থানায় জানালে এসআই মুকুলের নেতৃত্বে পুলিশ যায়। পুলিশ গিয়ে দর্শক সেজে গম মাড়াই উপভোগ করে চলে আসেন।
গত ১৪/০৩/২০২৪ থেকে ১৬/০৩/২০২৪ পর্যন্ত পুরো ঘটনাটিতে নাচোল থানা পুলিশের ভুমিকা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। ১৪/০৩/২০২৪ তারিখের অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিলে ১৫ এবং ১৬ তারিখের ঘটনা ঘটতনা।
আজ (১৭/০৩/২০২৪) এ বিষয়ে নাচোল থানা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ওসি তারেকুর রহমানকে ফোন দিলে তিনি গম কাটার জন্য থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন এবং পূর্বের অভিযোগটি সহ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন।
এ সংক্রান্ত আরও খবর (অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় ) আসছে পরবর্তী পর্বে———–