স্পোর্টস ডেস্ক :
সেই ২০০৩ সালে মুলতান টেস্টে ১ উইকেটে হারের দুঃস্বপ্ন ঘোচালো বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে এবং তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয়ের স্বাদ পেলো টাইগাররা। স্বাগতিকদের দেয়া ৩০ রানের স্বল্প টার্গেট ১০ উইকেটেই তুলে নিয়ে ইতিহাস তৈরি করলো বাংলাদেশ।
রোববার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশের জয়টা নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম জুটি।
রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের দারাতেই দেয়নি টাইগার বোলাররা। নিয়মিত তুলে নিয়েছেন উইকেট। লাঞ্চে যাওয়ার আগে পাকিস্তানের হাতে ৪ উইকেট থাকলেও লাঞ্চের ঠিক পরপরই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয় টাইগার বোলাররা। ১ উইকেটে ২৩ রান নিয়ে শেষ দিনের খেলা শুরু করেছিলো পাকিস্তান। সেখান থেকে লাঞ্চ বিরতির আগে ৬ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কা দেখা দেয় স্বাগতিক পাকিস্তানের।
রোববার (২৫ আগস্ট) দিন শুরুর দ্বিতীয় ওভারেই পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন হাসান মাহমুদ। তবে নাহিদ রানার বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন বাবর আজম। পরের ওভারেই সাকিবের বলে স্টাম্পড হয়েছেন প্রথম ইনিংসে ১৪১ রান করা সৌদি শাকিল। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি।
এক প্রান্তে দেখেশুনে খেলছিলেন আবদুল্লাহ শফিক। তবে হঠাৎ সাকিবকে বড় শট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়েছেন এই ওপেনার। সাকিবের দুই উইকেট শিকারের পর আঘাত করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। সাকিব ৩ উইকেট শিকার করেছেন।
পাকিস্তানের হয়ে মোহাম্মদ রিজওয়ান সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। তাতে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস থামে ১৪৬ রানে। মাত্র ৩০ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়েই কাঙ্ক্ষিত জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
প্রথম ইনিংসে ১৯১ রান করে ম্যাচসেরার পুরষ্কার তুলে নিয়েছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল মুশফিকুর রহিম।