অনলাইন ডেস্ক :
‘মা’ শব্দটি এক অক্ষের হলেও পবিত্র ও মধুর নাম এটি। সন্তানের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মায়ের আঁচল। যিনি নিঃস্বার্থে পরম স্নেহ আর ভালোবাসা দিয়ে সন্তানকে আমৃত্যু আগলে রাখেন, তিনিই মা।
কবি কাজী কাদের নেওয়াজ তার ‘মা’ কবিতায় বলেছিলেন ‘মা কথাটি ছোট্ট অতি কিন্তু জেনো ভাই, ইহার চেয়ে নাম যে মধুর তিন ভুবনে নাই। সত্যিই তাই মায়ের মতো করে সন্তানকে বোঝার দ্বিতীয় ব্যক্তি আর পৃথিবীতে নাই।
মা দিবসের উদ্দেশ্য, প্রতিটি মাকে যথাযথ সম্মান, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেয়া। যিনি জন্ম দিয়েছেন, লালন-পালন করেছেন এমন বিশ্বের সকল মাকে উৎসর্গ করা দিন আজ। বিশ্বজুড়ে চালু হওয়া হাজারো দিবসের ভিড়ে ‘মা’ দিবসটিও পালিত হয়ে আসছে।
প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবসের পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন।
ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।