নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন ভূক্তভোগীরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরানের বরাবর মোবারকপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সুজন আলী সবুজের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন উপজেলা মোবারকপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের মৃত সৈবুর রহমান ছেলে মানারুল ইসলাম ও একই গ্রামের মো. ঝালু রহমানের ছেলে আব্দুল হান্নান।
অভিযোগে তাঁরা লিখেন, ইউপি সদস্য মোঃ সবুজ আলী সুজন বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে আমাদের কাছে ৪ হাজার করে ৮ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও তিনি কার্ড বা টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা চাইতে গেলে বিভিন্নভাবে টালবাহানা ও অযুহাত দেখাচ্ছেন। আবার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, ভুক্তভোগী মানারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমার মা রুবেদা বেগম এর নামে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার কথা বলে অফিস খরচ বাবদ ৪ হাজার টাকা নিয়েছেন মেম্বার সুজন আলী সবুজ। পাঁচ বছর পার হলেও এখ নপর্যন্ত কোন কার্ড করে দেননি। এমনকি টাকা ফেরত চাইতে গেলে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
অন্যদিকে ভুক্তভোগী আব্দুল হান্নান অভিযোগ করে বলেন, আমার মা মুসলিমা বেগমকে স্বামী পরিত্যক্তার বই করে দিবেন বলে ৪ হাজার টাকা নিয়েছে মেম্বার সুজন আলী সবুজ। ৫ বছর হয়ে গেলেও কোন কাজ করে দেয়নি। তিনি বলেন অফিসে সে টাকা নিয়েছে, আমার কিছুই করার নেই। বরং টাকা ফেরত চাইতে গেলে বিভিন্ন রকমের হুমকি এবং রাজনৈতিক মামলা দেয়ারও হুমকি দিয়েছেন।
এব্যাপারে মোবারকপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সুজন আলী সবুজ অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে জানান, আমার কাছে তাঁর দু’জন কোন টাকা পাবে না। আমি তাদের কাছে কোন টাকা নেয়নি।
মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাহমুদুল হক হায়দারী (মাহমুদ মিয়া) বলেন, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সুজন আলী সবুজ অভিযোগটির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান জানান, ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মো. সুজন আলী সবুজের বিরুদ্ধে দু’টি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ দু’টি সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।