ষ্ট্যাফ রিপোর্টার: মোঃ শহিদুল ইসলাম রনি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার পদ্মা নদীর পাঁকা ফেরী ঘাটে যাত্রীদের নিকট হতে অতিরিক্ত টোল আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারী নিয়মনীতির কোন তোয়াজ করা হচ্ছে না । তবে টোল আদায়কারীরা বলছে নিয়ম বর্হিভূত কোন টোল আদায় করা হচ্ছে না।
স্থানীয় ও অন্যান্য একাধিক সূত্রে জানা গেছে এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার বিভিন্ন পেশার মানুষ যাতায়াত করে।
ঘাট পারাপারে টোল আদায় কারী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের সাধারন মানুষ। টোল আদায়ের তালিকা ঘাটে টাঙানো থাকলেও তোয়াক্কা না করেই ইচ্ছেমত আদায় করছেন ইজারাদাররা। এমনকি একটি ডাবের টোল আদায় করা হচ্ছে। রমজান উপলক্ষে ফেরীতে খেজুর বিক্রী করতে গেলে কেজি প্রিিত ৪০ টাকা আদায় করা হচেছ । এ সময় ঘাটে পারাপারের জনগণের অভিযোগ হলো সরকারি তালিকা ঝুলানো থাকেলেও দ্বিগুণ তিনগুণ বেশী টোল আদায় করছে। প্রতিবাদ করতে গেলে আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকী ও হায়রীন ফেলা হয়। এমনি কি অমাদের ঘাটের নৌকাতে পারাপার না করে অন্য নৌকাতে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে যেতে বাধ্য করে।
ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষ বাড়ী স্তানান্তর করতে গিয়ে দিতে হয় অতিরিক্ত টোল। এমনকি লাশ বহন করতে দিতে হয় টোল। সরজমিনে পাঁকা ঘাটে গিয়ে দেখা গেছে মতিউর রহামান নামে এক ব্যক্তি টোল আদায় করছে। এ সময় কথা হয় রুবেল নাম এক সাইকেলসহ এক ফেরীওয়ালা রুবেল আলীর সাথে। তিনি বলেন, আমার কাছে সামান্য খেজুর থাকায় ৮০টাকা নিয়েছে। মোটরসাইকেল চালক জানান আমি একা থাকলেও তারা আমার নিকট হতে ১০০টাকা নিয়েছে। আব্দুল কারিম নামে আরেকজন বলেন,এ ফেরী ঘাটকে কেন্দ্র করে শক্তিশালী সেন্ডিকেট রয়েছে। যা প্রায় ৪০ বছর থেকে বিদ্যমান। পল্টি মুরগী ব্যবসায়ী জানান আমার নিকট ৮৫টি পল্টি মুরগীর টোল নিয়েছে ৪০০ টাকা।
সাইফুল ইসলাম জানান একটি ডাবে দাম ৯০টাকায় কিনে নিয়ে গেলে টোল দিতে হয়। টোল আদায় কারীরা বাধ্য করছে একটি ডাবেরও টোল দিতে। এছাড়া যদি কেউ মারা যায়, সে মরদেহ এপার থেকে ওপারে অথবা চরাঞ্চল থেকে শিবগঞ্জে নিয়ে যেতে দিতে হয় হাজার হাজার টাকা। নাম প্রকাশে একাধিক ব্যক্তি জানান া এ ঘাটে প্রায় ৪০ বছর যাবত চঁপাইনবাবগঞ্জের জামাল মেম্বার ও তার মৃত্যুর পর তার ছেলে রিপন আলি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে সিন্ডকেটের মাধ্যমে এ ফেরী ঘাটের মালিকানা করে আসছে। এ ঘাটে টোল আদায় নিয়ে অনেকবার গোলমাল হয়েছে। এমনি কি উপজেলা প্রশাসন চত্বরে মানববন্ধনও হয়েছে। মামলাও হয়েছে। কিন্তু সিন্ডিকেট ভাঙ্গেনি। অতিরিক্ত টোল আদায় বন্ধও হয়নি। তবে মো. রিপন আলী বলেন, বর্তমানে আমি এ ফেরী ঘাটের সাথে সংপৃক্ত নই। পাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান জানান বর্তমানে কোন ইজারাদার নেই।
ইউপি ভ’মি অফিসের দায়িত্বে টোল আদায় করা হচ্ছে। আমি শুধু তাদের সহযোগিতা করি। তবে অনিয়ম হলে অবশ্যই প্রতিকার হওয়া উচিত। এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.আজাহার আলির সাথে যোগাযোগ করার জন্য সকাল ১১টার পর থেকে বিকাল দুপুর ২টাা পর্যন্ত কয়েকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমননি হোয়াটস আপে ম্যাসেজ দিয়ে তিনি কোন সাড়া দেননি।
তবে শিবগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) তৌফিক আজিজ জানান,আমরা গতকাল শনিবার গিয়েছিলাম ।কেউ মুখ খুলেননি। এমনি কি কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি। তার পর ও আমরা তদন্তসাপেক্ষে আইন অনুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। যাতে করে কোন সিন্ডিকেট সাধারণ মানুষকে হয়রানী করতে বা বেশী টোল আদায় করতে না পারে।