ষ্ট্যাফ রিপোর্টার: মোঃ শহিদুল ইসলাম রনি
সংবাদদাতা: শিবগঞ্জে প্রায় ২৫কিলোমিটার নির্মানাধীন রাস্তার কাজে অতিরিক্ত ধূলাবালিতে পরিবেশ দূষিত হওয়ায় পথচারী ও রাস্তার আশেপাশে বাড়িওয়ালাদের শিশু ও নানা ধরনের রোগীদের ভোগান্তীর শেষ নেই। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণ প্রয়োজনীয় পানি না ছিটায় এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের । তবে সংশ্ল্ষ্টি ঠিকাদার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে শিবগঞ্জ উপজেলার শাহাবাজপুর ইউনিয়নের কয়লাবাড়ি থেকে বিনোদপুর ইউনিয়নের টাপ্পু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার শ্যামপুর ইউনিয়নের চামা বাজাার হতে কানসাট ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার ও মোবারকপুর ইউনিয়নের ধোপপুকুর হতে গোলাপবাজার পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার রাস্তা পুনু:সংস্কারের কাজ চলছে। আর এ রাস্তার উপর দিয়ে চলছে শত শত বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। ফলে রাস্তায় ধূলবালি ও ধোঁয়া একাকার হয়ে যাচ্ছে। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। চলাচল করতে বিঘœ ঘটছে পথযাত্রীদের । এমনকি আশে পাশের বাড়ির শিশু ও বয়স্কদের জন্য খুবই ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে উঠেছে। তারপর আবার আবহাওয়া কিছুটা উষ্ণ হওয়ায় পরিবেশ আরো বেশী খারাপ হচ্ছে। রমজান মাসে এ ২৫ কিলোমিটার রাস্তার পাশে অবস্থিত ছোট বড় বাজারে রমজান উপলক্ষে বিক্রী হচ্ছে ইফতার সামগ্রী। যেগুলো ধূলাবালিতে একাকার হয়ে যাচ্ছে,আর সেগুলিই ক্রয় করে ইফতার করছে শত শত মানুষ।
মোটরসাইকেল চালক রনি জানান জীবনের তাগিদে প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে। মুখে মাস্ক পরেও রেহাই পাওয়া যায় না। তাছাড়া ধূলাবালিতে অন্যান্য যানবাহন ঠিকমত দেখা যায় না ।ফলে দূর্ঘটনার ভয় লেগেই থাকছে। অটোচালক ঝাল,øু লালচাঁন, বাবলুসহ অনেকেই জানান এ তিন টি রাস্তা দিয়ে অটো চালাতে গিয়ে ধূলাবালিতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। যাত্রীদের কাশি লেগেই থাকছে। একই অবস্থা দেখা গেছে রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করতে গিয়ে ভোগান্তির শিক্রা হচ্ছে । রাস্তার পাশের বাসিন্দা আনাসাারুল আলি ও আহসান হাবিব জানান আমরা রাস্তার ধূলাবালি থেকে রক্ষা পেতে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে রেখেও রক্ষা পাওয়া যায় না। প্রসঙ্গে রাস্তার ঠিকাদার তৌফিক আজিজ জানান রাস্তায় ধূলা বালি যেন না উড়ে সেজন্য সার্বক্ষণিক পানি ছিটানো হচ্ছে। তবে আবহাওয়া শুস্ক হওয়ায় কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। তবে আরেক জন ঠিকাদার আব্দুল মান্নানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ না করাই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী মো.হারুন অর রশিদ বলেন রাস্তার প্রতিজন ঠিকাদারকে সতর্ক করা হয়েছে যে যেন রাস্তার কোন ধূলবালি উড়ে পরিবেশ দূষিত করতে না পারে সে জন্য সার্বক্ষণিক পানি ছিটানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরর আমি নিজে পরিদর্শণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক বিশেষঞ্জ ডাক্তার মাহফুজ রায়হান ও মেডিসিন কনসালটেন্ট ডাক্তার মামুন কবির বলেন রাস্তার ধূলাবালি হতে শিশু ও বয়স্কদের শ^াসকষ্ট,হাঁপানী.হার্ট সহ নানা ধরনের সমস্য হতে পারে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত সর্তকতা অবলম্বন করে চলাফেরা করতে হবে। মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। নিরাপদ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হবে। তাছাড়া সংশ্লিষ্টদের উচিত দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের মাধ্যমে এটা বন্ধ করা।