স্টাফ রিপোর্টার: মোঃ মাহমুদুল হাসান :
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জে আম বাগানে ছাগলে ঘাস খাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে সাবেক বিএনপির নেতার বাড়িতে ভাংচুর ও ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,গোপালনগর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার ১১ এপ্রিল বিকেল ৪:৩০ ঘটিকার সময় শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের ০৭ নং ওয়ার্ড গোপালগর এলাকার হুদমা গ্রামের বেনারুল ইসলাম বেনু ঘোষের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তিনি শ্যামপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ছিলেন। এখন অসুস্থতায় ভুগছেন।
বেনু ঘোষের ভাতিজা নাশির হোসেন বলেন,সকালে পাশের গ্রামের মহবুলের আম বাগানে আমার চাচা বেনু ঘোষের একটি ছাগল যায়। এসময় মহবুলের ছেলে শহিদুল ইসলাম ছাগলটি ধরে নিয়ে যায়। আমি ছাগলটি আনতে গেলে আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে।
কিছুক্ষণ পরে শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে সংবদ্ধ একটি দল বেনু ঘোষের বাড়িতে হামলা করে। এসময় সাইফুল ইসলামের হাতে পিস্তল দেখা যায়। আমরা ভয়ে কিছু বলতে পারিনি। তাদের ইচ্ছেমতো ককটেল হামলা করেছে।
বেনারুল ইসলাম বেনু ঘোষের ছেলে আমিনুল ইসলাম বলেন,আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে হুদমা গ্রামে হামলা চালিয়ে আমাদের বাসায় আসবাবপত্র ভাংচুর,লুটপাট ও কয়েক জনকে মারধর করে। এক পর্যায়ে তাঁর কাছে বিদেশি পিস্তল হাতে নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। এতে গ্রামের সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তবে এ অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন,দুই গ্রামের মধ্যে গন্ডগোল বর্তমান পরিস্থিতিতে ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে আমার নামটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি কাজের জন্য বাইরে অবস্থান করছি। শুনেছি এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়া বলেন,শ্যামপুর ইউনিয়নের হুদমা গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। তিনজন আসামি আটক হয়েছে,বাকী আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।