আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
মালদ্বীপের বেঁধে দেওয়া সময়েই রোববার থেকে প্রথম দফায় সেনা প্রত্যাহার শুরু করবে ভারত। দেশটিতে থাকা প্রায় ৮০ জন ভারতীয় সেনা পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহার করতে দ্বীপরাষ্ট্রটির চীনপন্থি প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু আগামী মে মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন।
ভারতীয় সেনাদের অপসারণ করা মুইজ্জুর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল এটি। ‘ইন্ডিয়া আউট’ প্রচারণার মাধ্যমে গত বছরের নভেম্বরে তিনি ক্ষমতায় আসেন। খবর বিবিসি’র।
ভারত দীর্ঘদিন ধরে মালদ্বীপের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। এর মাধ্যমে ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিরীক্ষণের সুযোগ পায় দিল্লি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দেয়। এতে সুবিধা নিতে চাচ্ছে অপর আঞ্চলিক শক্তি চীন।
এই উত্তেজনার মাঝেও দিল্লি এবং মালে একটি বিষয়ে সম্মত হয়েছে। সেনা প্রত্যাহার করে নিলেও ভারতের দেওয়া দুটি উদ্ধার ও অনুসন্ধান হেলিকপ্টার এবং একটি ছোট বিমান রক্ষণাবেক্ষণে ভারত থেকেই বেসামরিক কর্মী নিয়োগ করা হবে। এরই মধ্যে তাদের প্রথম দল মালদ্বীপে পৌঁছেছে।
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শ্যাম শরণ বলেছেন, বিমানটি মালদ্বীপে থাকবে এবং ভারতীয় বেসামরিক কর্মীরা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সেখানে থাকবেন।
অবশ্য কয়েক বিশ্লেষক সতর্ক করেছেন, এশিয়ার শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে মালদ্বীপ।
চীন গত কয়েক বছর মালদ্বীপকে ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি ঋণ দিয়েছে। ভারতের বিরোধী অবস্থান নিয়ে মুইজ্জু গত জানুয়ারিতে চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে চুক্তি করেন।
সম্প্রতি মালদ্বীপ সরকার চীনের সঙ্গে একটি ‘সামরিক সহায়তা’ চুক্তি করেছে। বিষয়টি ভালোভাবে দেখছে না দিল্লি। মালদ্বীপের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আজিম জাহির বলেছেন, ‘এটি নজিরবিহীন। সামরিক সহায়তার জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে মালদ্বীপ এই প্রথম প্রতিরক্ষা চুক্তি করল।’
গত মাসে মুইজ্জুর প্রশাসন দিল্লির বিরোধিতা সত্ত্বেও চীনা গবেষণা জাহাজ মালেতে নোঙর করার অনুমতি দেয়, যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে ভারত।