অনলাইন ডেস্ক :
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে রোববার (২৪ মার্চ) থেকে। এবারই প্রথম সাত দিনের টিকিট দেওয়া হবে।
রোববার সকাল ৮টা থেকে রেলওয়ের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বিক্রি করা হবে। আগের ঈদগুলোতে পাঁচ দিনের টিকিট বিক্রি করলেও এবারই প্রথম সাত দিনের টিকিট বিক্রি করবে রেলওয়ে। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের এই ট্রেন যাত্রার টিকিট ভোগান্তিবিহীন কিনতে শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে।
ঈদের আগে আন্তঃনগর ট্রেনের ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৪ মার্চ; ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৫ মার্চ; ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৬ মার্চ; ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৭ মার্চ; ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৮ মার্চ; ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হবে ৩০ মার্চ। এছাড়া যাত্রী সাধারণের অনুরোধে ২৫ শতাংশ টিকিট যাত্রা শুরুর আগে প্রারম্ভিক স্টেশনের কাউন্টারে পাওয়া যাবে।
এবার ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট আসন সংখ্যা হবে ৩৩ হাজার ৫০০টি। টিকিট কালোবাজারি রুখতে নজরদারি বাড়িয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শুক্রবার কারসাজির মাধ্যমে সারা দেশে ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি চক্র ‘ঢালী সিন্ডিকেটের’ মূলহোতা মিজান ঢালী এবং সহজ ডটকমের এক কর্মকর্তাসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় র্যাব উদ্ধার করে বিপুল পরিমাণে ট্রেনের টিকেট, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও জাতীয় পরিচয়পত্র।
মিজান ঢালী ও সার্ভার অপারেটর নিউটন বিশ্বাসসহ ওই ৯ জন ট্রেনের আগাম টিকেট কেটে দ্বিগুণ মূল্যে কালোবাজারি করে বিক্রি করতো বলে র্যাব জানিয়েছে।
র্যাব বলছে, মূলহোতা মিজানের নেতৃত্বে এই চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রায় সব ট্রেনের টিকেট কালোবাজারি করে আসছিলো। ঢালী সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রতিদিন প্রায় ৫০০ টিকিট কেটে নিতো। আর এবারের ঈদের সময়ে তা হাজারে নেয়ার টার্গেট ছিলো।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, প্রতিবছর ঈদের মৌসুমে দেশব্যাপী তারা আনুমানিক দুই থেকে তিন টিকেট কালোবাজারি করে বিক্রি করতো। আসন্ন ঈদেও একই পরিকল্পনা ফেঁদেছিল তারা।