অনলাইন ডেস্ক :
এবার সৌদি আরবে হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৫ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও একজন নারী। নিহতদের মধ্যে মক্কায় মারা গেছেন ১১ জন ও মদিনায় ৪ জন।
গত ১৫ মে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা যান। স্বাভাবিক কারণেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।
মারা যাওয়া হজযাত্রীরা হলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার মো. আসাদুজ্জামান (৫৭), ভোলার মো. মোস্তফা (৯০), কুড়িগ্রামের মো. লুৎফর রহমান (৬৫), ঢাকার নবাবগঞ্জের মো. মুরতাজুর রহমান (৬৩), চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার মোহাম্মদ ইদ্রিস (৬৪), ঢাকার কদমতলির মোহাম্মদ শাহজাহান (৪৮), কুমিল্লার মো. আলী ইমাম ভুঁইয়া (৬৫), কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মো. জামাল উদ্দিন (৬৯), কক্সবাজারের রামু উপজেলার মোহাম্মদ নুরুল আলম (৬১), কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মাকসুদ আহমদ (৬১), ফরিদপুরের নগরকান্দার মমতাজ বেগম (৬৩), ঢাকার রামপুরার বাসিন্দা আরিফুল ইসলাম (৫৭), গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার মো. সোলাইমান (৭৩), রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার গোলাম কুদ্দুস (৫৪) ও রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার শাহাজুদ আলী (৫৫)।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ পালন করতে গিয়ে মারা গেলে তার মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তিও গ্রহণ করা হয় না।
মক্কায় হজযাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে, মদিনায় মসজিদে নববীতে আর জেদ্দায় মারা গেলে জেদ্দায় জানাজা হয়। জানাজা শেষে মক্কায় মারা যাওয়াদের মক্কার শারায়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে অথবা জেদ্দায় কবরস্থানে দাফন করা হয়।