অনলাইন ডেস্ক :
সরকারি কোটা বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পূর্বঘোষিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করছে শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টা শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট, সায়েন্স ল্যাব মোড় ও গুলিস্তান জিরো পয়েন্টসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া রামপুরা ও বাড্ডায়ও চলছে সড়ক অবরোধ।
এদিকে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সড়ক আটকে দেওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। যেখানে যেসব গাড়ি ছিল, সেখানেই সেগুলো দাঁড়িয়ে গেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন করছেন। বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে মিছিল বের করেন তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শাহবাগ মোড়ে আসে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। মিছিলের সামনের অংশটি সড়ক অবরোধ করতে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও বাংলামোটর মোড়ের দিকে চলে যায়। পেছনের অংশটি শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়।
বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হন। এরপর একটি মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে এসে অবরোধ করেন তারা। এর ফলে এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড এবং ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও তিনটি দাবি জানাচ্ছেন। এগুলো হলো ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে, সে ক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী শুধু অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে; সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা–সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।