স্টাফ রিপোর্টার :
রাজধানীর মিরপুর থেকে সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে রাজধানীর মিরপুর ৬ নম্বর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পল্লবী থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, রাতে মিরপুর পল্লবী এলাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র হত্যা মামলা রয়েছে।
এছাড়া, মিরপুর মডেল থানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। ব্যারিস্টার সুমনকে পল্লবী থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এর আগে, সোমবার রাত সোয়া একটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্টে দেন ব্যারিস্টার সুমন।
সেখানে তিনি লেখেন ‘আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে। দোয়া করবেন সবাই। ’ওই পোস্টে জুড়ে দেয়া এক ভিডিওতে তিনি দাবি করেছেন, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সুযোগ থাকার পরও অনেকের মতো তিনি দেশত্যাগ করেননি।
‘আমি দেশেই আছি, ঢাকা শহরেই আছি। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে আমি নিজের অবস্থান একটু গোপন রেখেছি।’
সুমন বলেন, ‘দেশ সংস্কারে কাজ করার সুযোগ পেলে আমি কাজ করবো। সংস্কারের অংশ হিসেবে এখন যাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে, এরকম অনেকের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছিলাম। এর শুরুটা আমিই করেছিলাম। ’সংসদ সদস্য হিসেবে পাওয়া স্বল্প সময়কে দেশের মানুষের কল্যাণে ব্যয় করেছেন বলে দাবি করেন ব্যারিস্টার সুমন।
তিনি এও বলেন, রাজনৈতিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে অনৈতিক কোনো কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কিংবা অবৈধ সম্পদ গড়েননি। ‘আমার নামে কোনো মামলা হলে আমি যেহেতু আইনজীবী, তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা আমার আছে। আমি আইনের মাধ্যমেই আমি সেটি মোকাবিলা করব।’
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত এই আইনজীবী। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলীকে পরাজিত করে হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসন থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।