মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
৩২ বছরের বৈষম্য অবসান করে অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আদেশে এমপিওভূক্তির দাবিতে এবং ঢাকা শিক্ষা ভবনের সামনে শিক্ষকদের কর্মসূচিতে শিক্ষকদের উপর পুলিশের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে শক্তিপূর্ণ মানবন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে “অ্যাপ্লিকেশন টু দ্যা চিল অ্যাডভাইজার” কর্মসুচি পালন করেন রাজশাহীর বিভিন্ন বেসরকারি কলেজের শিক্ষকবৃন্দরা।
২৪ অক্টোবর ( বৃহস্পতিবার) সকাল ১০ ঘটিকার রাজশাহীর জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অর্নাস – মাষ্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন রাজশাহী জেলা কমিটির উদ্দ্যেগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত বেসরকারি কলেজে সমূহে বিধিমোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও নিয়মিত কর্মরত ৩৫০০ জন অনার্স-মাস্টার্স কোর্সে শিক্ষকদেরকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ আদেশে এমপিওভুক্তির দাবিতে এবং গত ১৭ অক্টোবর ঢাকা শিক্ষা ভবনের সামনে কর্মসূচিতে শিক্ষকদের উপর পুলিশের অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে “অ্যাপ্লিকেশন টু দ্যা চিপ অ্যাডভাইজার” কর্মসূচি পালন করেন অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
উত্ত কর্মসূচি রাজশাহী জেলা শিক্ষক কমিটির সভাপতি মোঃ সানোয়ার হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: জালাল হোসেন এর সঞ্চালনায় উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। জেলার ১১ টি কলেজ হতে আগত শিক্ষক নেতৃবৃন্দরা উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জালাল হোসেন বলেন, এমপিওভুক্তির দাবিতে আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সময়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার পরেও অদ্যবধি সরকারি বেতন-ভাতা থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছি। এ ধারাবাহিকতায় গত ১৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ থেকে ১৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ঢাকায় শিক্ষা ভবনের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করে ১৭ অক্টোবর ২০২৪ বিকাল ৪:৩০ মিনিটে আমরা ‘মার্চ টু যমুনা” কর্মসূচি ঘোষণা করি। এতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমাদেরকে অগ্রসর হতে বাধা দেয়। ফলে আমরা রাস্তায় বসে পড়ি। এরই মধ্যে আসরের নামাজের আজান হলে আমরা সেখানেই নামাজ আদায় করি এবং মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টার অসুস্থতার কথা জানতে পেরে তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া করি । এমন সময় পেছনের দিক থেকে অর্থাৎ খাদ্য অধিদপ্তরের দিক থেকে পুলিশ বাহিনী আমাদের উপর লাঠিচার্জ করে এবং টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে আমাদের অনেক শিক্ষক আহত, রক্তাক্ত হয় এবং সমাবেশ পন্ড হয়। যার ভিডিও ও স্থির চিত্র বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও টেলিভিশন মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। এ ঘটনার জন্য আমরা শিক্ষক সমাজ লজ্জিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন মো: মেহেদি হাসান,মো: অলিউল্লাহ রহমান অলি ,কাজল কুমার মণ্ডল,মো:জালাল হোসেন ,মো: সানোয়ার হোসেন , মো: বাসার হোসেন প্রমূখ সহ ১১ টি কলেজের শিক্ষকবৃন্দরা।