রাজশাহী ব্যুরো :
নাটোরের গুরুদাসপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংঘর্ষে অন্তত দশজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে, পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে গুরুদাসপুরের মধ্যমপাড়া এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানান, গুরুদাসপুর থানার পরিদর্শক, মো. গোলাম সারোয়ার হোসেন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক শাকিল সহ পাঁচজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান, তিনি। আহতদের সবার বাড়িই গুরুদাসপুরের মধ্যমপাড়া এলাকায়। তাদের বিস্তারিত পরিচয় দ্রুত জানা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মধ্যমপাড়ার কয়েকজন বাসিন্দা জানান, মধ্যমপাড়ার আওয়ামী সমর্থক সাবেক কমিশনার মোখলেস রহমানের ভাগিনা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হোটেল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেনের কাছে চাল বিক্রির পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে মারপিটের শিকার হন বিএনপি সমর্থক রিজভী আহমেদ রাকিব, শাকিল আহমেদ ও ইমদাদ আলী। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মধ্যমপাড়া ব্রিজ এলাকায় জাহিদুল ও আলমগীরের উপর লাঠি নিয়ে আক্রমণ চালালে তারা দৌড়ে বাড়ি যায়। এরপর শাকিল, ইমদাদসহ ১০ থেকে ১৫ জন আলমগীরদের বাড়ির সামনে (মধ্যমপাড়া ব্রিজ থেকে আধা কি.মি পূর্বে) গেলে দুই পক্ষের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে বিএনপির আট থেকে নয়জন এবং আওয়ামী লীগের একজন আহত হয়েছেন। দেশীয় অস্ত্রে নিয়ে এমন সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিএনপির বিক্ষুদ্ধ সমর্থকেরা আওয়ামী নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ হস্তক্ষেপে তারা ফিরে আসেন।
গুরুদাসপুর পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, শহিদুল ইসলাম শেখ বলেন, মোখলেস কমিশনার, জাকির সোনার, আলমগীর, জাহাঙ্গীরসহ আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত হামলা চালিয়ে পৌর ছাত্রদলের নেতা শাকিলসহ বিএনপি সমর্থকদের গুরুতর আহত করেছে। আমরা এ হামলার তীব্র নিন্দা জানাই ও উপযুক্ত বিচার চাই। আমরা দলের নেতা কর্মীদের শান্ত রাখার চেষ্টা করেছি এবং এটা অব্যহত রেখেছি। এর মাঝে এমন নৃশংস হামলা চালনো হলো, এ হামলার উপযুক্ত বিচার চাই।
পুলিশ পরিদর্শক, গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, পাওনা টাকাকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে আইনগত প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে বলে জানান, পুলিশের ওই কর্মকর্তা।