নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নে কানসাট ঘাট থেকে চামাবাজার ২৩২০ মিটার রাস্তা সংস্কারের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নের রাস্তা। নির্মাণ কাজের আলহাজ্ব তৌফিকের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এ কাজে নিম্নমানের নাম্বারবিহীন ইট ও মাটিযুক্ত বালু ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই রাস্তার কাজ তদারকিতে শিবগঞ্জ উপজেলার এলজিডির কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। এলজিইডির ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে প্রকল্পে সংস্কার কার্পেটিং কাজের অনুকূলে সাড়ে তিন কোটি টাকা প্রায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ প্রকল্পের নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তায় নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে রাস্তায়। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনিয়মের অভিযোগের পরও কাজ বন্ধ না করে এখনও অনিয়মের মাধ্যমে কাজ দিয়েই ওই কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার আলহাজ্ব তৌফিক আলী।
এ রাস্তায় নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙে পানিতে যাবে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়বে এসব সড়ক। ফলে সরকারি বরাদ্দে অবমূল্যায়নের ফলে দুর্ভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীদের।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সড়কের কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি করা হচ্ছে। বালুর পরিবর্তে কাদামাটি দিয়ে তার ওপর নিম্নমানের পুরোনো ইটের খোয়া ছিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নিম্নমানের ইটের ভাঙা অংশ রাবিশ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় আব্দুল ওদুদ বলেন, ঠিাকাদারকে টেন্ডারের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করার কথা বললেও কোনো তোয়াক্কা না করে অনুমোদন বিহীন নিম্নমানের বালি ও কংক্রিট দিয়ে কাজ সম্পূর্ণ করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্যামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা হেমবাবু বলেন, ঠিকাদারকে কি টাকা কম দিয়েছে সরকার যে এভাবে রাস্তা করবে এত নিম্নমানের রাস্তা কয়েকদিনে উঠে যাবে আমরা চাই সিডিউল অনুযায়ী যে মানের ইট বালি দিয়ে রাস্তা করার কথা আছে সেই রকম ভাবে করা হোক ।
স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকার পালিয়ে যাওয়ার পরে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ এত অনিয়ম বরদাস্ত করা যায় না, এ রাস্তাটি সংস্করে ব্যাপক ও নিয়ম ও দুর্নীতি হচ্ছে বালির বদলে মাটি দিয়ে খোয়া মিস করা হচ্ছে এভাবে রাস্তা সংস্কর করলে অল্প দিনে রাস্তা দিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে।
স্থানীয় রেজাউল করিম বলেন, এ রাস্তাটি ভেঙে গেছিল কিন্তু সংস্কার দেখে অনেক খুশি হয়েছিলাম, কিন্তু এত অনিয়ম দুর্নীতির নিম্নমানের রাস্তা নির্মাণ করায় মনটা খারাপ হয়ে গেছে। তিন নাম্বার ইটের খোয়া দিয়া রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে একটি দুঃখজনক প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা ।
অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আলহাজ্ব তৌফিক কাছে এ রাস্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি , অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, রাস্তার কাজ হচ্ছে ইট বালি কিছুই নিম্নমানের নয়। বালির বদলে মাটি দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবের আলী বলেন, রাস্তার কাজে অনিয়ম পেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি খোঁজ-খবর নিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করছি।
শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান আল ইমরান বলেন, সড়কে কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন কোনো অভিযোগ এলাকাবাসী আমাকে জানায়নি।অনিয়ম হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।