অনলাইন ডেস্ক :
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এই কর্মসূচিতে ইসিকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচী (ইউএনডিপি)।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এই কার্যক্রম আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি এবং নানা কারণে তালিকা থেকে বাদ পড়া নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি মৃতদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নেওয়া হয় প্রতিবছর।
এবার যাদের জন্ম ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দেশব্যাপী এ কার্যক্রমে অংশ নেবেন নির্বাচন কর্মকর্তা, সুপারভাইজার ও মাঠ কর্মকর্তারা। ইসি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে ল্যাপটপ, স্ক্যানার এবং বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ কাজে ব্যবহারের জন্য ব্যাগ হস্তান্তর করেছে ইউএনডিপি।
ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন কেন্দ্রে ছবি তোলে ও চোখের আইরিশ এবং দশ আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করবে সংস্থাটি। হালানাগের এসব কাজে ল্যাপটপ, স্ক্যানার কাজে দেবে।
ইউএনডিপি বরাবরই ইসিকে নানা সহায়তা দিয়ে আসছে। এর আগেও প্রশিক্ষণ, অবকাঠামো উন্নয়ন, নির্বাচনী উপকরণে সহায়তা দিয়েছে। এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ভোটার তালিকা হালনাগাদেও সংস্থাটি সহায়তা করতে চায়। ইতোমধ্যে তারা সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছে।
প্রতিবছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে চলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম। আগের বছরের তথ্য নিয়ে, খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয় ২ জানুয়ারি। আর দাবি ও আপত্তি নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত তালিকা দেওয়া হয় ২ মার্চ। এছাড়া নির্বাচনের সময় বাদে যেকোনো সময় তালিকা সংশোধন করতে পারে কমিশন।