দিনাজপুর প্রতিনিধি: মোঃ নুর আলম :
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় বিদেশি সবজি স্কোয়াশ চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন কৃষক মকবুল হোসেন। অল্প পুঁজি ও শ্রমে মালচিং পদ্ধতিতে উপজেলার আরও সাতজন কৃষক স্কোয়াশ চাষ করেছেন। শসার মতো দেখতে এই সবজির চাষের মাধ্যমে উপজেলায় কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলার সাতটি স্থানে স্কোয়াশ চাষ হয়েছে। প্রতিটি স্থানে প্রায় ২০ শতক জমিতে স্কোয়াশ চাষ করা হয়েছে। দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, জৈব বালাইনাশক এবং কৃষি সহায়তা দেয়া হয়েছে।
উপজেলার ভেড়ভেড়ী ইউনিয়নের টংগুয়া দোলাপাড়া, আংগারপাড়া ও জাহাঙ্গীরপুর এলাকায় গেলে দেখা যায় প্রতিটি ক্ষেতের গাছে ঝুলছে ছোট-বড় স্কোয়াশ। এসব কোনটি পরিপক্ব, আবার কোনটি পরিণত হওয়ার পথে।
আংগারপাড়া এলাকার কৃষক তাইজুল ইসলাম বলেন, ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে এর বীজ বপন করতে হয়। ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে। পরাগায়নের ১০-১৫ দিনের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়। বর্তমানে অন্যান্য সবজির দাম কম হওয়ায় স্কোয়াশ গড়ে প্রতি পিস ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘এ উপজেলায় সাতজন কৃষক কৃষি বিভাগের সহায়তায় স্কোয়াশ চাষ করেছেন। কৃষকরাও আগ্রহী হলে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, স্কোয়াশ সবুজ ও হলুদ দুই রঙের হয়ে থাকে। দেখতে শসার মতো হলেও গাছটি মিষ্টি কুমড়ার গাছের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে দেশে স্কোয়াশের চাষ হলেও খানসামায় এর চাষ গত মৌসুম থেকেই শুরু হয়েছে। চলতি মৌসুমে এর সাফল্য উপজেলায় স্কোয়াশ চাষের সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করে তুলেছে।