স্টাফ রিপোর্টার:
রাজশাহী ওয়াসা এমন প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে সরকার কখনো লাভের মুখ দেখে নাই। দেখবেই বা কি করে বিগত ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের পেতাত্মারা সেখানে ওত পেতে বসে রয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলী ডন যার দুর্নীতির কোন শেষ ছিল না রাজশাহী ওয়াসাতে। তার দুর্নীতির সহকর্মী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শ্রমিক লীগের সভাপতি আশরাফ এখনো ওয়াসাতে বহাল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এখনোও রাজশাহীতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর পাঁয়তারা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী ওয়াসার শ্রমিক লীগের সভাপতি আশরাফ এখন খোলস পাল্টে স্থানীয় বিএনপি সহ তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওয়াসা চাকরি অথবা টেন্ডার ধরিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে চাকুরীতে বহাল রয়েছে। এছাড়াও এক দুর্নীতিবাজ নেতার মাধ্যমে তার ছেলেকে ছাত্রদলের পদ নিয়ে দেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা দিয়েছে। এছাড়াও ওয়াসার সাবেক ব্যবস্থাপক পরিচালককে মোটা অংকের টাকা দিয়েই পাঁচ আগস্টের পর থেকে নিয়মিত অফিস করছে। বিগত সময়ে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার থেকে পছন্দর লোককে ১৫% কমিশনে কাজ দেওয়া , পছন্দের লোককে ওয়াশাতে মাস্টার রোলে বসানো তাছাড়াও শ্রমিকলীগের পাওয়ার দেখিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়াসাকে নিজের প্রতিষ্ঠান বানিয়ে রেখেছিল বিগত সময়ে। বিগত সময়ে যেমন আওয়ামী লীগের লোকজনকে ওয়াসার মাস্টার রোলে চাকুরী এবং ১৫% কমিশনে টেন্ডার ধরিয়ে দিত ঠিক তেমনি প্ল্যান করে এখন চেষ্টায় রয়েছে বিএনপি ও জামাতকে টেন্ডার ধরিয়ে দেওয়ার। যেই প্রতিষ্ঠান যোগ্য এবং সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করে তাদের কাজ না দিয়ে রাজনীতির আশ্রয় থাকা দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে লুটপাটের রাস্তা তৈরি করে দেওয়া এই সমস্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কিভাবে ওয়াসাতে চাকরি করে সেটাই সুশীল সমাজের প্রশ্ন।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের সহকর্মী রোহান বলেন, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমাদের সিনিয়র সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে জানাবো । উনি যেন তদন্ত সাপেক্ষে মামলার ব্যবস্থা করে। আওয়ামী লীগ নিধন কর্মসূচি চলছে থানায় অভিযোগ দিলেই ডেভিল হান্টের অভিযান করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদকে মুঠোফোনে কল দিয়ে ফোন না ধরায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।