নিজস্ব প্রতিবেদক:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের শিক্ষক ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের সাথে এক ছাত্রীর অনৈতিক কর্মকান্ডের নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৬ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে নবাবগঞ্জ সিটি কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভের সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ওই লম্পট শিক্ষককে অবিলম্বে বরখাস্ত করাসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। ছাত্ররা বলেন, এমন লম্পট শিক্ষকের নিকট কোন শিক্ষার্থী নিরাপদ নয়। সুতরাং তাকে অবিলম্বে কলেজ থেকে বরখাস্ত ও শাস্তি দেয়ার দাবী জানান। এসব দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি কলেজের আশপাশের সড়ক ও কলেজ ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কলেজটির অধ্যক্ষের নিকট গিয়ে অভিযোগ জানান।
নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল খান জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে সিটি কলেজের শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের এক ছাত্রীর সাথে আপত্তিকর ও নগ্ন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে ঘটনাটি কলেজে নয়, এমনকি সেই ছাত্রীও আমাদের কলেজে পড়ে না। কিন্তু তার কারনে আমাদের কলেজের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। তাই সেই শিক্ষকের কঠোর শাস্তি ও বরখাস্তের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। এছাড়াও দাবি জানিয়েছি, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির।
এসময় অধ্যক্ষ তরিকুল আলম সিদ্দিকী নয়ন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলনে, একজন শিক্ষকের এধরণের কর্মকান্ড অত্যন্ত ঘৃণা ও হতাশা জনক। এবিষয়টি তদন্তের জন্য ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা তারা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের শিক্ষক ও বিএনপি নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের দুইটি আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। ৫৬ সেকেন্ড ও ১১ সেকেন্ডের ভিডিও দুটিতে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা যায় এক নারী ও অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষককে। বানিজ্য বিভাগের শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দনের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন ভিডিওতে থাকা ওই ছাত্রী। অভিযুক্ত কলেজ শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন চন্দন চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সিটি কলেজের প্রভাষক। তার বাড়ি জেলা শহরের হুজরাপুর এলাকায়। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।