অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর কলাবাগানে একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি করে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কলাবাগান থানার আহ্বায়কসহ ১৪ জনকে আটক করে যৌথ বাহিনী।
পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, হামলাকারীরা ড্রয়ার ভেঙে নগদ তিন লাখ টাকা ও চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার নিয়ে যায়।
শুক্রবার রাতে কলাবাগান থানায় সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান।
তিনি বলেন, রাজধানীর লেক সার্কাস এলাকায় একটি কোম্পানির অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে কলাবাগান থানা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক সালাউদ্দিন সালমান রয়েছেন।
ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, শেখ কবির নামে একজনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে অভিযুক্তরা চাঁদা দাবি করে এবং হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় তারা নগদ তিন লাখ টাকা, চারটি ডেস্কটপ কম্পিউটার নিয়ে যায় এবং চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে তারা। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এরপর ১৪ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে অভিযুক্তরা পুলিশকে অবহিত করেছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, না, তারা আগে থেকে পুলিশকে জানায়নি।
এ ঘটনায় আটক ১৪ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই অফিসের সিসি ক্যামেরাগুলো ভাঙা অবস্থায় পেয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছে পাওয়া গেছে ৩১ হাজার টাকা।
ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, কোনো তথ্য থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রথমে অবহিত করবেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো ব্যক্তি অভিযান চালাতে পারবেন না।
এর আগে, শুক্রবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আর আগের জায়গায় নেই। সেখান থেকে একটি ছাত্র সংগঠন তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক দল তৈরি হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী বা সমন্বয়ক পরিচয়টা এখন আর এক্সিস্ট (অস্তিত্ব) করে না।
নাহিদ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে এই পরিচয় ব্যবহার করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাহলে তারা যেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেন।