অনলাইন ডেস্ক :
পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন সরকারি চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।
শনিবার (১১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এর আগে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্য থেকে পদযাত্রা নিয়ে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।
এর আগে, দুপুর ১টা থেকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘চাকরির বয়স ৩৫ প্রত্যাশী সমন্বয় পরিষদ’ এর ব্যানারে সমাবেশ শুরু করেন আন্দোলনরতরা। সমাবেশ থেকে গণভবন অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিশ্বের প্রায় ১৬২টি দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা কমপক্ষে ৩৫ বছর, তার মধ্যে কিছু দেশে তা উন্মুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল হয়েও বিভিন্ন রাজ্যভেদে চাকরিতে আবেদনের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৪৫ বছর, মালদ্বীপে ৪৫ বছর, শ্রীলঙ্কায় ৪৫ বছর, নেপালে ৩৫ বছর, আফগানিস্তানে ৩৫ বছর। ভারতসহ বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো অনেক গবেষণা করেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ন্যূনতম ৩৫ বছর করেছে। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩০ বছর। পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল, এক নম্বর অর্থনীতি ও উদীয়মান পরাশক্তি রাষ্ট্র চীনেও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০ বছর পর্যন্ত।
তারা বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে প্রায় আড়াই বছর যাবত তেমন কোনো নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়নি বা নিয়োগ পরীক্ষা হয়নি। বাংলাদেশ থেকে লকডাউন উঠিয়ে নেওয়ার পর থেকে প্রতি সপ্তাহান্তে ১০ থেকে ১৫টি বা ততোধিক পরীক্ষা একই দিনে, একই সময়ে হয়েছে। ফলে পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে অনেক চাকরিপ্রত্যাশী। কোভিড-১৯ এর শুরুতে যাদের বয়স ২৭-২৯ বছর ছিল তাদের বয়স এখন ৩০ বা ততধিক। ফলে চাকরিপ্রার্থীরা বাস্তবিক অর্থে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ৩০ বছরের পরিবর্তে সাড়ে ২৭ বছর পেয়েছে। আমরা সার্টিফিকেটধারী শিক্ষার্থীরা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারিনি।