মোহাম্মাদ কবির হোসেন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
ফেসবুক আইডি হ্যাক করে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্টের জেরে ৬ মাস আগে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল থানায় জমা দিয়েছেন মিঠুন বিশ্বাস নামে এক হিন্দু যুবক। তারপর থেকে সাধারণ ফোন ব্যবহার করছেন তিনি। তবুও বর্তমানে তার ফেসবুক আইডি থেকে দেয়া হচ্ছে ইসলাম ধর্ম বিরোধী নানান উস্কানিমূলক পোস্ট। যা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের তারাইল এলাকায়। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে গনঅধিকার পরিষদ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা শাখা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে একথা জানান ঐ যুবক।
ভুক্তভোগী মিঠুন বিশ্বাস বলেন, আমি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি। শখের বশে প্রায় এক বছর আগে একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল কিনে একজনকে দিয়ে একটি ফেসবুক একাউন্ট খুলি। কিছুদিন পর আইডিটা হ্যাক করে কে বা কারা আমার আইডি থেকে ইসলামবিরোধী উস্কানিমূলক পোস্ট করতে থাকে। তখন ইউএনও এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানালে তারা থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে বলে। পরে গত ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর টুঙ্গিপাড়া থানায় জিডি করি। এছাড়া ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বারের কথায় মোবাইলটি থানায় জমা দিয়ে আসি। এরপর থেকে সাধারণ মোবাইল ব্যবহার করে আসছি।
তিনি আরো বলেন, কিন্তু হটাৎ ঈদের ৩ দিন পর থেকে আমার নামের সেই ফেসবুক একাউন্ট থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে উস্কানিমূলক পোস্ট করতে থাকে। যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। পরে আবার থানায় সাধারণ ডায়েরি করি। আমি একজন সাধারণ মানুষ কিন্তু আমাকে ফাঁসাতে যারা এই কাজ করছে আমি তাদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে তারাইল এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মিজান শিকদার বলেন, হিন্দু ছেলেটি সামান্য পড়াশোনা জানে, আর কাঠমিস্ত্রির কাজ করে। আগের ঝামেলার পর আমার পরামর্শে তার এন্ড্রয়েড ফোনটি থানায় জমা দেয়। কিন্তু তারপরেও নিরিহ ছেলেটিকে ফাঁসাতে কে বা কারা যেন ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট করে যাচ্ছে। এর আগেও এলাকার ইসলাম ধর্মের মুরব্বিদের নিয়ে বসার পরও নির্দোষ প্রমাণিত হয়। ধর্ম নিয়ে উস্কানিমূলক পোস্ট যে দিচ্ছে আইনের মাধ্যমে তার শাস্তি চাই।