অনলাইন ডেস্ক :
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি মাছ ধরার ট্রলার লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছুড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একজন নিহত ও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়াও ৫টি ট্রলারসহ ৬০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা। বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমের মৌলভীর শিল নামের বঙ্গোপসাগরের মোহনায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জেলের নাম মো. ওসমান (৫০)। তিনি শাহপরীর দ্বীপের কোনারপাড়া এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে। ওই দ্বীপের বাজারপাড়া এলাকার সাইফুল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে ছিলেন তিনি। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ৩ জেলেও ওই ট্রলারের। তবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
ধরে নিয়ে যাওয়া অপর ৪ ট্রলারে মালিকরা হলেন, শাহপরীর দ্বীপের মিস্ত্রী পাড়ার মুসলিম মিয়ার ছেলে মতিউর রহমান, মৃত আলী হোসেনের ছেলে আবদুল্লাহ, তার ভাই আতা উল্লাহ, উত্তরপাড়ার সৈয়দ মাঝির ছেলে মো. আছেম। এই ৪ টি ট্রলারে ৬০ জন মাঝি মাল্লা ছিলেন।
ট্রলার মালিক সাইফুল জানান, সাগরে মাছ ধরার সময় হঠাৎ করে মিয়ানমারের নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় ট্রলারে গুলিবিদ্ধ হয়ে ৪ জনের মধ্যে একজন মারা যায়। পরে ৫টি ট্রলারসহ মাঝি-মাল্লাদের ধরে মিয়ানমারে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারটি ছেড়ে দিয়েছে তারা। নিহত এবং আহত জেলেদের নিয়ে ট্রলারটি শাহপরীর দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা দিয়েছে। তবে এখনও ঘাটে এসে পৌঁছায়নি।
ট্রলার মালিক মতিউর রহমান জানান, ধরে নিয়ে যাওয়া ট্রলার ও মাঝি মাল্লাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। নিহতকে নিয়ে ট্রলারটি ঘাটে পৌঁছালে বিস্তারিত জানা যাবে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নানাভাবে শুনেছি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ চলছে।
কোস্টগার্ডের শাহপরীর দ্বীপের দায়িত্বরত কর্মকর্তা (নাম প্রকাশ না করে) বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন মারা গেছেন। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছে আরও ৩ জন। ট্রলারটি ঘাটে আসার অপেক্ষায় আছি। ঘাটে আসার পর বিস্তারিত জানা যাবে।