অনলাইন ডেস্ক :
শারদীয় দুর্গোৎসবের মহা অষ্টমী আজ। এদিন অন্যতম আকর্ষণ কুমারীপূজা। শাস্ত্র মতে, মহাসপ্তমী পূজায় বিশেষ রীতি মেনে স্নান করানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে ধর্মীয় রীতিতে নতুন বস্ত্র ও নানা উপাচারে তার পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন দেবীর তৃতীয় চক্ষু দান করা হয়। সপ্তমী পূজার শুরুতে নবপত্রিকা প্রবেশ ও প্রকৃতির বিভিন্ন সৃষ্টির মধ্যে ৯টি গাছের ফুল, ফল ও পাতা দিয়ে সব অশুদ্ধকে শোধনের মাধ্যমে দেবীর পূজা করা হয়।
আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) মহাষ্টমীতে সকাল ৭টা ১৭ মিনিটের মধ্যে দেবীর মহাষ্টমী কল্পারম্ভ ও মহাষ্টমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পুষ্পাঞ্জলি ও প্রসাদ বিতরণ হয়।
এদিন, সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিট থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটের মধ্যে হবে সন্ধিপূজা। রামকৃষ্ণ মিশন, মঠসহ কয়েকটি পূজামণ্ডপে বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকামতে দুর্গাপূজা আয়োজনের কারণে এসব মণ্ডপে পূজার সময়ের হেরফের ঘটবে কিছুটা। তবে আজকের দিনের প্রধান আকর্ষণ থাকবে কুমারীপূজা।
রামকৃষ্ণ মিশনসহ বিভিন্ন মণ্ডপে কুমারীপূজার আয়োজন করা হয়েছে। সকালে পূজা শুরু হলেও দুপুরের পর থেকে মণ্ডপগুলোতে ঢল নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শারদীয় দুর্গোৎসবের তৃতীয় দিনে প্রতিবছরের মতো এবারও মহাষ্টমীতে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে হচ্ছে কুমারীপূজা। মাতৃভাবে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে তাতে জগজ্জননীর উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করাই কুমারীপূজা
শাস্ত্র মতে, এদিন মা দুর্গার অন্য কোনো নামে কুমারীর নামকরণ হবে। কোনো ছোট্ট শিশুকন্যাকে ‘কুমারী মা’-এর আসনে বসানো হয়।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার শঙ্খ, উলুধ্বনি, কাঁসর ঘণ্টা ও ঢাকের তালে সারা দেশে উদযাপন করা হয়েছে মহাসপ্তমী। অশুভের বিনাশ ঘটিয়ে পৃথিবীতে শুভ শক্তির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা।
মহাসপ্তমীর দিনে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রমনা কালীমন্দির, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, শ্রীশ্রী যমুনামাঈ আশ্রম ও মন্দির, স্বামীবাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম, ধানমণ্ডি কলাবাগান মাঠ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, বাংলাবাজার পূজা কমিটি, নর্থব্রুক হল রোড, প্রতিদ্বন্দ্বী পূজামণ্ডপ, তাঁতীবাজার পূজা কমিটি, শঙ্ঘমিত্র শাঁখারীবাজার, পাণিটোলা, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির ও শ্মশান কমিটি, হাজারীবাগ সুইপার কলোনি, মিরপুর কেন্দ্রীয় মন্দির, আজিমপুর সর্বজনীন পূজামণ্ডপ, বনানী পূজামণ্ডপ, গৌতমমন্দির, ভোলাগিরি আশ্রমসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ, সন্ধ্যা আরতিসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন মণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।