মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
রাজশাহী আঞ্চলিক লোক- প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এখনও বৈষম্য শিকার হচ্ছেন কর্মচারীরা। সাথে দুর্নীতি আর সরকারী টাকা লুটপাট তো রয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠে এসেছে কিছু সরকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাজশাহী আঞ্চলিক লোক- প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অস্থায়ী ডেইলী বেতন ভুক্ত কিছু কর্মচারী রয়েছে। তারা যখন যোগদান করেন তখন তাদের বেতন ছিল দিন ৫০০ টাকা কিন্তু রহস্যজনকভাবে তাদের প্রত্যেকের বেতন থেকে ৫০ টাকা কেঁটে নিয়ে তাদেরকে ৪৫০ টাকা দেওয়া হয়। এরপর সরকার তাদের বেতন বাড়িয়ে ৬০০ টাকা দিন করলেও তারা এখনও ৫০ টাকা কম পাচ্ছে। ৫ আগষ্টের পর থেকে বাংলাদেশে বৈষম্য থাকবে না বলে ঘোষণা দেন অভ্যন্তরীণ সরকার। তবুও তারা এখনোও বৈষম্য শিকার হচ্ছেন।
চাকুরী হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ্য না করা শর্তে এক কর্মচারী বলেন, রাজশাহী আঞ্চলিক লোক- প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল বাকী, সবেক সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ও মোঃ মামুনুর রশিদ সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) এই তিন জনের কারনে আজও আমরা বৈষম্যর শিকার। সহকারী পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) নুর আহমেদ মাছুম নতুন যোগদানের পর ভেবেছিলাম এখন সবকিছু স্বাভাবিক হবে কিন্ত সেটা এখনোও হয়নি। আরও অস্থায়ী কিছু কর্মচারী রয়েছে যারা ঠিকাদারের মাধ্যমে নিয়োগ নিয়েছে তাদের সম্পূর্ণ বেতন এবং সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয় যেগুলি থেকে আমরা সবসময় বঞ্চিত। এছাড়াও সরকারিভাবে কোন প্রশিক্ষণ চালু হলে সেটার খরচ ৩-৪ গুণ বেশি দেখিয়ে সরকারি টাকা লুটপাট করে আসছেন উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল বাকী ও সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ মামুনুর রশিদ।
এ বিষয়ে সহকারী পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মোঃ মামুনুর রশিদ’কে মুঠোফোনে একাধীকবার ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি যার কারনে কোন বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে উপপরিচালক (যুগ্মসচিব) আ.ত.ম. আব্দুল্লাহেল বাকী প্রতিবেদককে জানান, যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছে তাকে নিয়ে আসেন আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করে নিবো।