মো: আতিকুর রহমান আতিক, রাজশাহী :
রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন থানা এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে ছিনতাই মামলার কুখ্যাত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন মো: ইমরান হোসেন বাপ্পী (২৬), মো: তাইফ হোসেন শাফি (২০) ও মো: সুমন হোসেন সাদ্দাম (৩০)। ইমরান হোসেন বাপ্পী রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুরে মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে, শাফি রাজপাড়া থানার রাজপাড়া ফুড অফিসের পিছনের মো: রাজু শেখের ছেলে ও সুমন বোয়ালিয়া থানার বখতিয়ারাবাদ মালদা কলোনী বউ বাজারের মো: আরমানের ছেলে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ রাতে রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতি: ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) কে. এম. আরিফুল হক পিপিএম-এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ড. মো: রুহুল আমিন সরকারের দিকনির্দেশনায় সহকারী পুলিশ কমিশনার মোসা: আরজিনা খাতুনের নেতৃত্বে এসআই মো: আব্দুল করিম তালুকদার ও তাঁর টিম মহানগর এলাকায় অভিযান ডিউটি করছিলো। এসময় তাঁরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চন্দ্রিমা থানার ছিনতাই মামলার কুখ্যাত ছিনতাইকারী ইমরান হোসেন বাপ্পী চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুর ফ্লাইওভারের নিচে অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশের ঐ টিম আজ ১ মার্চ ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ (২৯ ফেব্রুয়ারি দিবাগত) রাত সাড়ে ১২ টায় ভদ্রা জামালপুর ফ্লাইওভারের নিচে অভিযান পরিচালনা করে আসামি ইমরান হোসেন বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা আছে।
অপর একটি অভিযানে এসআই আব্দুর রহমান ও তার টিম গতকাল রাত সাড়ে ১১ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে রাজপাড়া থানার ফুড অফিসের সামনে থেকে মাদক ও ছিনতাইসহ চার মামলার আসামি তাইফ হোসেন শাফিকে গ্রেপ্তার করে।
এছাড়াও আরএমপি ডিবি’র অপর এসআই মো: মিজানুর রহমান সরকার ও তার টিম গতকাল রাত ১০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বোয়ালিয়া থানার বখতিয়ারাবাদ মালদা কলোনী থেকে মাদক ও ছিনতাইসহ ছয় মামলার আসামি সুমন হোসেন সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ সকালে আসামি ইমরানকে চন্দ্রিমা থানায়, তাইফকে রাজপাড়া থানায় ও আসামি সুমন হোসেনকে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।