আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সম্প্রতি বাংলাদেশে ১৮৪ জন সাংবাদিকের প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিলের বিষয়টি যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তা দুর্ভাগ্যজনক। এমনই মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ মন্তব্য করেন।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে অ্যাসোসিয়েট প্রেসের ব্যুরোপ্রধানসহ ১৮৪ জন সাংবাদিকের ‘প্রেস ক্রেডেনশিয়াল’ বাতিল করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে সাংবাদিকদের সুরক্ষা সহায়তা থেকে শুরু করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিধি-নিষেধ মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র কী ধরণের উদ্যোগ বিবেচনা করছে?
এ প্রশ্নের পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের লেখা সাম্প্রতিক চিঠির কথা উল্লেখ করে এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাওয়া হয় ব্রিফিংয়ে।
সাংবাদিকের এসব জিজ্ঞাসার উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘আমি প্রতিবেদনটি দেখিনি। তবে এটি সত্য হয়ে থাকলে তা অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক হবে। আমাদের জোরালো দৃষ্টিভঙ্গি হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতে খবর সংগ্রহের জন্য গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ। আমরা উৎসাহিত করার পাশাপাশি নিশ্চিত করতে চাই যে, সাংবাদিকদের অধিকার ও স্বাধীনতাকে যথাযথভাবে সম্মান করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মীদের কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়া সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ভিন্নমতের ও বিরোধীদেরসহ সকলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকারে সমর্থন করি। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এসব স্বাধীনতা যেকোনো গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য উপাদান।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারসহ আমাদের সকল অংশীদারদের এই সমর্থনের কথা জানাই। দেশের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সকল বাংলাদেশির জন্য এসব স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা এবং রক্ষা করা জরুরি।’